চট্টগ্রামে ভারতীয় উপ হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১২
- আপডেট সময়ঃ ০১:০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৪ বার পড়া হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সারা দেশের মতো উত্তাল হয়ে পড়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। তারা নগরের দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থিত সাবেক মন্ত্রী নওফেলের বাড়িতে আগুন দিয়েছে।
আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ভারতীয় উপ হাইকমিশন কার্যালয়েও হামলার চেষ্টা চালায়। তবে পুলিশের বাধায় সেটা পণ্ড হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ।
জানা যায়, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন শরিফ উসমান হাদির মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই বিক্ষোভকারীরা রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকায় জড়ো হয়ে মিছিল করতে থাকেন। এরমধ্যে বিক্ষুব্ধ জনতার একটি গ্রুপ দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের চশমা হিলের বাসভবনে যান। প্রথমে ভবনের সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ লোকজন বাসায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা নগরের খুলশী এলাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। তারা পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেটে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সে সময় রাবার বুলেটে কয়েকজন আহত হয়।
এ সময় দূতাবাসে অবস্থান করা কয়েকজন ব্যক্তিকে পুলিশের নিরাপত্তায় নিরাপদে সরে যেতে দেখা গেছে। আর ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খুলশী হাইকমিশন কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা চলছে।’
বিক্ষোভের কারণে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে, বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন যে তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভের কারণে নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। এছাড়া, নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আশা করছেন, আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত একটি সমাধান পাওয়া যাবে এবং নগরীর স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
তথ্যসহায়তাঃমানবজমিন




















