০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

দিরাই উপজেলায় ‘চোর’ বলে গালি দেওয়ায় দুই পক্ষের মারামারি, একজন নিহত

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট সময়ঃ ১২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের সাকিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

‎নিহত ব্যক্তির নাম ইসলাম উদ্দিন সরদার (৫৫)। তিনি সাকিতপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহত হয়ে তাঁর বড় ভাই আজিমুল ইসলাম সরদার (৬০) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।


‎পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে সাকিতপুর গ্রামে সাইদুর রহমান ও শাহিনুর রহমান নামের দুই বন্ধুর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় একজন অন্যজনকে ‘চোর’ বলে গালি দেন। এর জেরে সাইদুর ও শাহিনুর পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সন্ধ্যায় শাহিনুরের চাচা ইসলাম উদ্দিন স্থানীয় বাজার থেকে সাকিতপুরে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ইসলাম উদ্দিনকে মারধর করেন সাইদুর রহমানের লোকজন। খবর পেয়ে ইসলাম উদ্দিনের ভাই আজিমুলসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান।
‎একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে ইসলাম উদ্দিন ও আজিমুল আহত হন।

‎পরে তাঁদের উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ইসলাম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদিকে আজিমুলকে পাঠানো হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।


‎দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, চোর ডাকার মতো তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

‎এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত ইসলাম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় শোকাহত। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। এদিকে, গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।


‎স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছেন।

‎পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এলাকাবাসীও এই ঘটনার দ্রুত সমাধান প্রত্যাশা করছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

দিরাই উপজেলায় ‘চোর’ বলে গালি দেওয়ায় দুই পক্ষের মারামারি, একজন নিহত

আপডেট সময়ঃ ১২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের সাকিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

‎নিহত ব্যক্তির নাম ইসলাম উদ্দিন সরদার (৫৫)। তিনি সাকিতপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহত হয়ে তাঁর বড় ভাই আজিমুল ইসলাম সরদার (৬০) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।


‎পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে সাকিতপুর গ্রামে সাইদুর রহমান ও শাহিনুর রহমান নামের দুই বন্ধুর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় একজন অন্যজনকে ‘চোর’ বলে গালি দেন। এর জেরে সাইদুর ও শাহিনুর পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সন্ধ্যায় শাহিনুরের চাচা ইসলাম উদ্দিন স্থানীয় বাজার থেকে সাকিতপুরে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ইসলাম উদ্দিনকে মারধর করেন সাইদুর রহমানের লোকজন। খবর পেয়ে ইসলাম উদ্দিনের ভাই আজিমুলসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান।
‎একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে ইসলাম উদ্দিন ও আজিমুল আহত হন।

‎পরে তাঁদের উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ইসলাম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদিকে আজিমুলকে পাঠানো হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।


‎দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, চোর ডাকার মতো তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

‎এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত ইসলাম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় শোকাহত। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। এদিকে, গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।


‎স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছেন।

‎পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এলাকাবাসীও এই ঘটনার দ্রুত সমাধান প্রত্যাশা করছেন।