০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

পাগল হাসানের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘স্মরণানুষ্ঠান’

ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে।

তরুণ সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্মরণানুষ্ঠান’ হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার রাত ৮টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির পাগল হাসান কুঞ্জে আলোচনা সভা ও তাঁর গানের অনুষ্ঠান হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, বিশিষ্ট বংশীবাদক কুতুবউদ্দিন, সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু, প্রথমআলোর নিজস্ব প্রতিবেদক খলিল রহমান, জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাবেল, সংগীত শিল্পী সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষ, সোহেল রানা, রিপন চন্দ্র প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন থিয়েটার সুনামগঞ্জের দলপ্রধান দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী। এরপর গান পরিবেশন করেন লিটন পাগলা, জুয়েল পাগল, সঞ্জয়, আমির পাশা, পিয়াস, মিজান, রিপন, সেলিম, আতাব, সুষেন, প্রিয়ন্তী, সুমন রাজা, সোহেল রানা, পংকজসহ স্থানীয় শিল্পীরা।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল জেলার ছাতক উপজেলা শহরের সুরমা সেতু এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের মৃত্যু হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুধু সুনামগঞ্জ শহরে নয়, তাঁর নিজ উপজেলা ছাতেকের বাড়িতে মিলাদ মাহফিল ও দোয়াসহ নানা আয়োজন ছিল। যে স্থানে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, সেই ‘পাগল হাসান চত্বর’-এ আজ শনিবার পাগল হাসান স্মরণোৎসব করবে স্মৃতি পরিষদ।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৩৩ বছরের জীবন পাগল হাসানের। এই জীবনে মরমি ভাবধারার বেশ কিছু গান লিখে, নিজে সেইসব গানের সুর করে নিজেই গেয়েছেন। ২০১১ সালে হাসান বিয়ে করেন সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দা লুৎফা বেগমকে। তাঁর দুই পুত্র সন্তান। বড় ছেলে মাকসুদুর রহমান জিনান (১৬), সুনামগঞ্জ শহরের জামেয়া ইসলামিয়া মদনিয়া মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে এবং ছোট ছেলে মুশফিকুর রহমান জিসান (১৫) সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পাগল হাসানের গানের মধ্যে ‘আসমানে যাইওনারে বন্ধু ধরতে পারবো না/ পাতালে যাইওনারে বন্ধু ছুঁইতে পারবো না’, ‘জীবন খাতায় প্রেম কলঙ্কের দাগ দাগাইয়া/ ছাড়িয়া যাইওনারে বন্ধু মায়া লাগাইয়া’, ‘দুই দিনের সংসারি আর মিছা দুনিয়াদারি/ তোর চরণে দিলাম বিকাইয়া’, ‘কইরো ঘৃণা যায়—আসে না/ তবেই যাবে মনের তাপ/ আল্লাহর ওয়াস্তে কইরা দিয়ো মাফ’, ‘জানতাম যদি তোমার পিরিত কচুপাতার পানি/ তবে কি আর কুল হারাইয়া হইতাম অপমানিরে বন্ধু’, ‘দেহ কুপির তেল ফুরাইবে, জ্বলবে নারে বাতি, অনন্তকাল একলা রইবে, হইবে না কেউ সাথি’ প্রভৃতি খুবই জনপ্রিয় ।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

পাগল হাসানের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘স্মরণানুষ্ঠান’

আপডেট সময়ঃ ১১:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

তরুণ সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্মরণানুষ্ঠান’ হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার রাত ৮টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির পাগল হাসান কুঞ্জে আলোচনা সভা ও তাঁর গানের অনুষ্ঠান হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, বিশিষ্ট বংশীবাদক কুতুবউদ্দিন, সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু, প্রথমআলোর নিজস্ব প্রতিবেদক খলিল রহমান, জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাবেল, সংগীত শিল্পী সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষ, সোহেল রানা, রিপন চন্দ্র প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন থিয়েটার সুনামগঞ্জের দলপ্রধান দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী। এরপর গান পরিবেশন করেন লিটন পাগলা, জুয়েল পাগল, সঞ্জয়, আমির পাশা, পিয়াস, মিজান, রিপন, সেলিম, আতাব, সুষেন, প্রিয়ন্তী, সুমন রাজা, সোহেল রানা, পংকজসহ স্থানীয় শিল্পীরা।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল জেলার ছাতক উপজেলা শহরের সুরমা সেতু এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের মৃত্যু হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুধু সুনামগঞ্জ শহরে নয়, তাঁর নিজ উপজেলা ছাতেকের বাড়িতে মিলাদ মাহফিল ও দোয়াসহ নানা আয়োজন ছিল। যে স্থানে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, সেই ‘পাগল হাসান চত্বর’-এ আজ শনিবার পাগল হাসান স্মরণোৎসব করবে স্মৃতি পরিষদ।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৩৩ বছরের জীবন পাগল হাসানের। এই জীবনে মরমি ভাবধারার বেশ কিছু গান লিখে, নিজে সেইসব গানের সুর করে নিজেই গেয়েছেন। ২০১১ সালে হাসান বিয়ে করেন সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দা লুৎফা বেগমকে। তাঁর দুই পুত্র সন্তান। বড় ছেলে মাকসুদুর রহমান জিনান (১৬), সুনামগঞ্জ শহরের জামেয়া ইসলামিয়া মদনিয়া মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে এবং ছোট ছেলে মুশফিকুর রহমান জিসান (১৫) সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পাগল হাসানের গানের মধ্যে ‘আসমানে যাইওনারে বন্ধু ধরতে পারবো না/ পাতালে যাইওনারে বন্ধু ছুঁইতে পারবো না’, ‘জীবন খাতায় প্রেম কলঙ্কের দাগ দাগাইয়া/ ছাড়িয়া যাইওনারে বন্ধু মায়া লাগাইয়া’, ‘দুই দিনের সংসারি আর মিছা দুনিয়াদারি/ তোর চরণে দিলাম বিকাইয়া’, ‘কইরো ঘৃণা যায়—আসে না/ তবেই যাবে মনের তাপ/ আল্লাহর ওয়াস্তে কইরা দিয়ো মাফ’, ‘জানতাম যদি তোমার পিরিত কচুপাতার পানি/ তবে কি আর কুল হারাইয়া হইতাম অপমানিরে বন্ধু’, ‘দেহ কুপির তেল ফুরাইবে, জ্বলবে নারে বাতি, অনন্তকাল একলা রইবে, হইবে না কেউ সাথি’ প্রভৃতি খুবই জনপ্রিয় ।