অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধের ঘটনা: গ্রেপ্তার ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হলো
- আপডেট সময়ঃ ০১:১৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২ বার পড়া হয়েছে।
‘সচিবালয় ভাতা’র দাবিতে আন্দোলনে নেমে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদকে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনার পর গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তাঁরা সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো গত সোমবার ওই সব কর্মকর্তা–কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চারজন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. বাদীউল কবির, অফিস সহায়ক মো. কামাল হোসেন, মো. আলিমুজ্জামান ও মো. নজরুল ইসলাম।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ মিলিয়ে সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন বরখাস্তের তালিকায়। তাঁরা হলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোমান গাজী, শাহীন গোলাম রব্বানী, অফিস সহায়ক মো. আবুল বেলাল, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. তায়েফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র রায়, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইসলামুল হক, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. মহসীন আলী।
এ ছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো. মিজানুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস সহায়ক মো. নাসিমুল হক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক বিপুল রানা বিপ্লবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সচিবালয়ে কর্মরত সব কর্মচারীর জন্য ২০ শতাংশ ‘সচিবালয় ভাতা’র দাবিতে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের নেতৃত্বে আন্দোলন করে আসছিলেন সচিবালয়ে কর্মরত নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর অংশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর অর্থ উপদেষ্টাকে তাঁর কার্যালয়ে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ করেন তাঁরা।
পরদিন আবারও আন্দোলনে নামলে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাঁদের ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এই ঘটনার পর সচিবালয়ে কর্মরত নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ কর্মচারীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করবে এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের পথকে সংকুচিত করবে।
অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর পক্ষ থেকে বলা হয় যে, সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত এবং আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। তারা আরও জানান, বরখাস্তের সিদ্ধান্ত সাময়িক এবং পরবর্তী তদন্তের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে সচিবালয়ে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীরা আশা করছেন যে, আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান আসবে এবং তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রবণতা আরও দৃঢ় হয়েছে এবং তারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তথ্যসহায়তাঃপ্রথমআলো




















