০৩:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

গোপালগঞ্জে কারফিউ, সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে এনসিপি নেতারা

হক বার্তা ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / ১২৮ বার পড়া হয়েছে।

‎দিনভর হামলা-সংঘর্ষের পর রাত আটটা থেকে আগামীকাল বিকাল ছয়টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

‎বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সমাবেশ ঘিরে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করে গোপালগঞ্জে। জেলা শহরে সমাবেশ শুরুর আগে ও পরে দুই দফা হামলা করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। হামলার পর এনসিপি নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।

‎সেনাবাহিনীর সহায়তায় তারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন এনসিপি নেতারা

‎সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নেতারা। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিকাল ৫টা পরে গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন তারা।

‎এনসিপি নেতাকর্মীদের বহনকারী ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ির বহর বের হওয়ার সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়ি নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়।

‎এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা গাড়ি বহরে রয়েছেন। দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশে হামলা করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

‎হামলার পর নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থানের সময় এক ফেসবুক পোস্টে মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম লিখেন, “গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালেরা আমাদের উপরে আক্রমণ করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে, পিছু হটছে”। সারজিস তার ফেসবুক পোস্টে মানুষকে গোপালগঞ্জে আসার আহ্বান জানিয়ে লিখেন “সারা বাংলাদেশের মানুষ গোপালগঞ্জের ছুটে আসুন”।

‎এর কিছু সময় পর এনসিপি নেতাদের সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। 

‎সমাবেশে হামলার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগ করা হয় বিভিন্ন স্থানে। জেলা কারাগারে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনাও ঘটে। সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা করা হয়। পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

গোপালগঞ্জে কারফিউ, সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে এনসিপি নেতারা

আপডেট সময়ঃ ০৭:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

‎দিনভর হামলা-সংঘর্ষের পর রাত আটটা থেকে আগামীকাল বিকাল ছয়টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

‎বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সমাবেশ ঘিরে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করে গোপালগঞ্জে। জেলা শহরে সমাবেশ শুরুর আগে ও পরে দুই দফা হামলা করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। হামলার পর এনসিপি নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।

‎সেনাবাহিনীর সহায়তায় তারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন এনসিপি নেতারা

‎সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নেতারা। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিকাল ৫টা পরে গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন তারা।

‎এনসিপি নেতাকর্মীদের বহনকারী ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ির বহর বের হওয়ার সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়ি নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়।

‎এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা গাড়ি বহরে রয়েছেন। দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশে হামলা করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

‎হামলার পর নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থানের সময় এক ফেসবুক পোস্টে মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম লিখেন, “গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালেরা আমাদের উপরে আক্রমণ করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে, পিছু হটছে”। সারজিস তার ফেসবুক পোস্টে মানুষকে গোপালগঞ্জে আসার আহ্বান জানিয়ে লিখেন “সারা বাংলাদেশের মানুষ গোপালগঞ্জের ছুটে আসুন”।

‎এর কিছু সময় পর এনসিপি নেতাদের সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। 

‎সমাবেশে হামলার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগ করা হয় বিভিন্ন স্থানে। জেলা কারাগারে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনাও ঘটে। সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা করা হয়। পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।