০৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহীতে ১৮ মাসের শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

হক বার্তা ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০২:০১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে।

চার সদস্যের পরিবার। মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩), মেয়ে মিথিলা (১৮ মাস)। মাহিম অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রাজশাহীর পবা উপজেলার বামুনশিকড় এলাকায় তাদের বাড়ি। শুক্রবার সকালে এই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকাল ৯টার দিকে ওই এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।

জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করেন। এরমধ্যে উত্তরের ঘরে মা ও মেয়ে, আর দক্ষিণের ঘরে ছেলে ও বাবা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। মতিহার থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) কালাম পরভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে যাতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষিকাজ করেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পাবেন।

চিরকুটে লেখা ছিল- “আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের জন্য আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।”

এদিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি জানার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে। মরদেহের পাশে হাতে লেখা একটা চিঠি পাওয়া গেছে । প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা মিনারুলের লেখা। চিঠিতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সুস্পষ্ট ভাবে বলা যাবে এটা কার লেখা।

 

 

 

সুত্রঃমানবজমিন

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

রাজশাহীতে ১৮ মাসের শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময়ঃ ০২:০১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

চার সদস্যের পরিবার। মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩), মেয়ে মিথিলা (১৮ মাস)। মাহিম অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রাজশাহীর পবা উপজেলার বামুনশিকড় এলাকায় তাদের বাড়ি। শুক্রবার সকালে এই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকাল ৯টার দিকে ওই এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।

জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করেন। এরমধ্যে উত্তরের ঘরে মা ও মেয়ে, আর দক্ষিণের ঘরে ছেলে ও বাবা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। মতিহার থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) কালাম পরভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে যাতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষিকাজ করেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পাবেন।

চিরকুটে লেখা ছিল- “আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের জন্য আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।”

এদিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি জানার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে। মরদেহের পাশে হাতে লেখা একটা চিঠি পাওয়া গেছে । প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা মিনারুলের লেখা। চিঠিতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সুস্পষ্ট ভাবে বলা যাবে এটা কার লেখা।

 

 

 

সুত্রঃমানবজমিন