০৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

হক বার্তা ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২ বার পড়া হয়েছে।

‎অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সকল নাগরিককে কয়েকজন বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত নব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। 

‎সরকার জানিয়েছে, সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন, অগ্নিসংযোগ ও জানমাল ধ্বংসের সকল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তারা দৃঢ় ও দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা প্রকাশ করে।

‎শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ একটি ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। যারা বিশৃঙ্খলাকে পুঁজি হিসেবে নেয় এবং শান্তির পথ উপেক্ষা করে—এমন অল্প কয়েকজনের কারণে এই অগ্রযাত্রা কোনভাবেই ব্যাহত হতে দিতে পারি না এবং দেওয়া হবে না।

‎বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট কেবল রাজনৈতিক অনুশীলন নয়; এগুলো একটি গুরুতর জাতীয় অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে সেই স্বপ্নের সঙ্গে, যার জন্য শহীদ শরিফ ওসমান হাদি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। হাদির আত্মত্যাগ ও স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে হলে সংযম, দায়িত্বশীলতা এবং ঘৃণা প্রত্যাখ্যানের প্রতি অবিচল অঙ্গীকার প্রয়োজন বলে সরকার উল্লেখ করেছে।

‎সংবাদমাধ্যমের ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী বিবৃতিতে জানানো হয়, দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও নিউ এজ-এর সাংবাদিকদের পাশে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাংবাদিকরা যে সন্ত্রাস ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তার জন্য গভীর দুঃখও প্রকাশ করা হয়েছে।

‎এতে আরও বলা হয়েছে, সন্ত্রাসের মুখেও সাংবাদিকদের সাহস ও সহনশীলতা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানেই সত্যের ওপর হামলা এবং এ ঘটনায় পূর্ণ ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

‎এছাড়া, ময়মনসিংহে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর নিন্দা জানিয়ে সরকার বলেছে, নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের সহিংসতার স্থান নেই। এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

‎বিবৃতির শেষাংশে সংকটময় এই মুহূর্তে প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, সহিংসতা, উসকানি ও ঘৃণাকে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধের মাধ্যমে শহীদ হাদির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

‎সরকার আরও বলেছে, দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। এই লক্ষ্য অর্জনে সমাজের প্রতিটি স্তরে সংলাপ ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে। সরকার সব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনকে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন সহিংসতা ও বিভেদের পথ পরিহার করে এবং দেশের উন্নয়নের জন্য একযোগে কাজ করে।

‎বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

‎এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তারা যেন কোনো গুজবে কান না দেয় এবং যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। সরকারের এই আহ্বান দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

‎তথ্যসহায়তাঃবাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

আপডেট সময়ঃ ০৫:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

‎অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সকল নাগরিককে কয়েকজন বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত নব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। 

‎সরকার জানিয়েছে, সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন, অগ্নিসংযোগ ও জানমাল ধ্বংসের সকল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তারা দৃঢ় ও দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা প্রকাশ করে।

‎শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ একটি ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। যারা বিশৃঙ্খলাকে পুঁজি হিসেবে নেয় এবং শান্তির পথ উপেক্ষা করে—এমন অল্প কয়েকজনের কারণে এই অগ্রযাত্রা কোনভাবেই ব্যাহত হতে দিতে পারি না এবং দেওয়া হবে না।

‎বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট কেবল রাজনৈতিক অনুশীলন নয়; এগুলো একটি গুরুতর জাতীয় অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে সেই স্বপ্নের সঙ্গে, যার জন্য শহীদ শরিফ ওসমান হাদি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। হাদির আত্মত্যাগ ও স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে হলে সংযম, দায়িত্বশীলতা এবং ঘৃণা প্রত্যাখ্যানের প্রতি অবিচল অঙ্গীকার প্রয়োজন বলে সরকার উল্লেখ করেছে।

‎সংবাদমাধ্যমের ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী বিবৃতিতে জানানো হয়, দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও নিউ এজ-এর সাংবাদিকদের পাশে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাংবাদিকরা যে সন্ত্রাস ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তার জন্য গভীর দুঃখও প্রকাশ করা হয়েছে।

‎এতে আরও বলা হয়েছে, সন্ত্রাসের মুখেও সাংবাদিকদের সাহস ও সহনশীলতা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানেই সত্যের ওপর হামলা এবং এ ঘটনায় পূর্ণ ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

‎এছাড়া, ময়মনসিংহে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর নিন্দা জানিয়ে সরকার বলেছে, নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের সহিংসতার স্থান নেই। এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

‎বিবৃতির শেষাংশে সংকটময় এই মুহূর্তে প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, সহিংসতা, উসকানি ও ঘৃণাকে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধের মাধ্যমে শহীদ হাদির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

‎সরকার আরও বলেছে, দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। এই লক্ষ্য অর্জনে সমাজের প্রতিটি স্তরে সংলাপ ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে। সরকার সব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনকে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন সহিংসতা ও বিভেদের পথ পরিহার করে এবং দেশের উন্নয়নের জন্য একযোগে কাজ করে।

‎বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

‎এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তারা যেন কোনো গুজবে কান না দেয় এবং যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। সরকারের এই আহ্বান দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

‎তথ্যসহায়তাঃবাসস