০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সুনামগঞ্জে অকাল বন্যার শঙ্কা, হাওরবাসীর চোখে ভয়

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময়ঃ ১১:০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১২১ বার পড়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জ, যার বুক জুড়ে লালিত হয় বোরো ধানের সোনালি স্বপ্ন। দেশের ‘বোরো ধানের ভান্ডার’ খ্যাত এই জেলার হাওর অঞ্চলজুড়ে সারা বছরের খাদ্য, সন্তানদের লেখাপড়া, বিয়ে-শাদি ও সংসার চলে একমাত্র ফসলকে ঘিরে। ধান উঠলে চাঙা হয় হাওরের প্রান্তিক অর্থনীতি। কিন্তু এবার সেই সোনালি স্বপ্নের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে অকালব ন্যার অন্ধকার আশঙ্কা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ১২ উপজেলার ১৩৭টি ছোট-বড় হাওরে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। তবে বাস্তবে চাষ হয়েছে তার চেয়েও বেশি ২ লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ধান। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ হাজার ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ হক বার্তাকে জানান, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত হাওরের ১৫ হাজার ৩২০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। মাঠে বর্তমানে কাজ করছে ৭৩ হাজার শ্রমিক, ১৬০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১৫টি রিপার। ধান দ্রুত কাটার সুবিধার্থে জেলা কৃষি বিভাগের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সুনামগঞ্জে অকাল বন্যার শঙ্কা, হাওরবাসীর চোখে ভয়

আপডেট সময়ঃ ১১:০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

সুনামগঞ্জ, যার বুক জুড়ে লালিত হয় বোরো ধানের সোনালি স্বপ্ন। দেশের ‘বোরো ধানের ভান্ডার’ খ্যাত এই জেলার হাওর অঞ্চলজুড়ে সারা বছরের খাদ্য, সন্তানদের লেখাপড়া, বিয়ে-শাদি ও সংসার চলে একমাত্র ফসলকে ঘিরে। ধান উঠলে চাঙা হয় হাওরের প্রান্তিক অর্থনীতি। কিন্তু এবার সেই সোনালি স্বপ্নের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে অকালব ন্যার অন্ধকার আশঙ্কা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ১২ উপজেলার ১৩৭টি ছোট-বড় হাওরে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। তবে বাস্তবে চাষ হয়েছে তার চেয়েও বেশি ২ লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ধান। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ হাজার ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ হক বার্তাকে জানান, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত হাওরের ১৫ হাজার ৩২০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। মাঠে বর্তমানে কাজ করছে ৭৩ হাজার শ্রমিক, ১৬০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১৫টি রিপার। ধান দ্রুত কাটার সুবিধার্থে জেলা কৃষি বিভাগের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।