১১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর সন্তানসহ থানায় পুলিশের কাছে স্বামীর আত্মসমর্পণ

হক বার্তা ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০১:৩৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে।

‎পরকীয়া সন্দেহে পটুয়াখালীর বাউফলে সালমা আক্তার (৩২) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যার একদিন পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন তার স্বামী সরোয়ার হোসেন। 

‎বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে চার বছরের একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাউফল থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে খুনের দায় স্বীকার করেন তিনি। 

‎তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়ার গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সালমা আক্তার পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে। 

‎বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন তিনি। জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা গ্রামের সরোয়ারের সঙ্গে একই উপজেলার ধাওয়া গ্রামের সালমা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। চার বছর আগে এনটিঅরসি’র মাধ্যমে বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় বাংলা বিষয়ে প্রভাষক পদে চাকরিতে যোগ দেন সালমা আক্তার।

‎চাকরির সুবাদে সালমা ও তার স্বামী সরোয়ার উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়ার গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। এ সময় নিজের অজান্তে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী সালমা আক্তার। এতে স্বামী সরোয়ার বাধা দিলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। ওই কলহের জের ধরে  গত বুধবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে উভয়ের মধ্যে ফের ঝগড়ার সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে সালমাকে হত্যা করে। পরে লাশটি বদ্ধ ঘরে রেখে শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর বিবেকের তাড়নায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একমাত্র সন্তানসহ থানায় উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

‎বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে সরোয়ার থানায় এসে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সালমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটিকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

‎সুত্র:মানবজমিন

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর সন্তানসহ থানায় পুলিশের কাছে স্বামীর আত্মসমর্পণ

আপডেট সময়ঃ ০১:৩৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

‎পরকীয়া সন্দেহে পটুয়াখালীর বাউফলে সালমা আক্তার (৩২) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যার একদিন পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন তার স্বামী সরোয়ার হোসেন। 

‎বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে চার বছরের একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাউফল থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে খুনের দায় স্বীকার করেন তিনি। 

‎তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়ার গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সালমা আক্তার পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে। 

‎বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন তিনি। জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা গ্রামের সরোয়ারের সঙ্গে একই উপজেলার ধাওয়া গ্রামের সালমা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। চার বছর আগে এনটিঅরসি’র মাধ্যমে বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় বাংলা বিষয়ে প্রভাষক পদে চাকরিতে যোগ দেন সালমা আক্তার।

‎চাকরির সুবাদে সালমা ও তার স্বামী সরোয়ার উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়ার গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। এ সময় নিজের অজান্তে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী সালমা আক্তার। এতে স্বামী সরোয়ার বাধা দিলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। ওই কলহের জের ধরে  গত বুধবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে উভয়ের মধ্যে ফের ঝগড়ার সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে সালমাকে হত্যা করে। পরে লাশটি বদ্ধ ঘরে রেখে শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর বিবেকের তাড়নায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একমাত্র সন্তানসহ থানায় উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

‎বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে সরোয়ার থানায় এসে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সালমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটিকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

‎সুত্র:মানবজমিন