১০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

শাবিপ্রবির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থের ছুরিকাঘাতে তরুনী আহত

স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট সময়ঃ ১২:২০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থের ছুরিকাঘাতে তার একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করার অভিযোগ ওঠেছে। ছুরিকাঘাতের পর পার্থ নিজের শরীরেও ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে।

এঘটনায় পার্থকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ ও আহত শিক্ষিকার স্বজনরা জানান, পার্থ ও মেয়েটি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। মেয়েটি বর্তমানে স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটি তার ভাবীকে নিয়ে শহরের হাছননগর এলাকার একটি দোকানে কেনাকাটা করতে আসে। একপর্যায়ে পার্থ মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটির স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ডাক্তার মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এদিকে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পার্থকে শহরে ধোপাখালী শ্মশানঘাট এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে। মেয়েটির এক স্বজন জানানা, শাবিপ্রবি এর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ মেয়েটিকে হুমকিধামকি দিতো। তারা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ার পূর্ব পরিচয় ছিলো। হুমকির বিষয়টি পার্থর পরিবারকে জানানো হলে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আজ বিকেলে মেয়েটিকে অনুসরন করে সে শহরের হাছননগর এলাকার মার্কেটে আসে। একপর্যায়ে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ১০ আঘাত করে। তার মধ্যে ৮ গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের নৌকাখালী গ্রামে। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সে সিলেটে আত্মগোপনে ছিলো।মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে সে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে চলে আসে।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মনিবুর রহমান বলেন, ছেলে ও মেয়ে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পূর্ব পরিচয় ছিলো। পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে পার্থ আজ মেয়েটিকে শহরের হাছননগর এলাকায় ডেকে নিয়ে ছুরিঘাত করে আহত করে। সে পালিয়ে শহরের ধোপাখালী শ্মশানঘাটে আত্মগোপন করে নিজের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পার্থকে গ্রেফতার করে। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পার্থ ও মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পার্থ বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে। মেয়েটিকে সিলেটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

শাবিপ্রবির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থের ছুরিকাঘাতে তরুনী আহত

আপডেট সময়ঃ ১২:২০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থের ছুরিকাঘাতে তার একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করার অভিযোগ ওঠেছে। ছুরিকাঘাতের পর পার্থ নিজের শরীরেও ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে।

এঘটনায় পার্থকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ ও আহত শিক্ষিকার স্বজনরা জানান, পার্থ ও মেয়েটি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। মেয়েটি বর্তমানে স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটি তার ভাবীকে নিয়ে শহরের হাছননগর এলাকার একটি দোকানে কেনাকাটা করতে আসে। একপর্যায়ে পার্থ মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটির স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ডাক্তার মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এদিকে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পার্থকে শহরে ধোপাখালী শ্মশানঘাট এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে। মেয়েটির এক স্বজন জানানা, শাবিপ্রবি এর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ মেয়েটিকে হুমকিধামকি দিতো। তারা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ার পূর্ব পরিচয় ছিলো। হুমকির বিষয়টি পার্থর পরিবারকে জানানো হলে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আজ বিকেলে মেয়েটিকে অনুসরন করে সে শহরের হাছননগর এলাকার মার্কেটে আসে। একপর্যায়ে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ১০ আঘাত করে। তার মধ্যে ৮ গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের নৌকাখালী গ্রামে। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সে সিলেটে আত্মগোপনে ছিলো।মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে সে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে চলে আসে।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মনিবুর রহমান বলেন, ছেলে ও মেয়ে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পূর্ব পরিচয় ছিলো। পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে পার্থ আজ মেয়েটিকে শহরের হাছননগর এলাকায় ডেকে নিয়ে ছুরিঘাত করে আহত করে। সে পালিয়ে শহরের ধোপাখালী শ্মশানঘাটে আত্মগোপন করে নিজের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পার্থকে গ্রেফতার করে। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পার্থ ও মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পার্থ বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে। মেয়েটিকে সিলেটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।