০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

হক বার্তা ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে।

‎অভিযান শুরু করার প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়নগঞ্জ পুলিশ। শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত সাবেক এই মেয়রের বাড়িতে পুলিশ অভিযান শুরু করে।

‎খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থা নেয় এলাকাবাসী। পরে সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে বাড়ির চারপাশে ঘিরে রাখে। অভিযান শুরুর সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সেখানে তাঁর বিপুলসংখ্যক সমর্থক অবস্থান করছিলেন। গাড়িবহর নিয়ে পুলিশও ছিল সতর্ক অবস্থানে।

‎স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর এই প্রথম বিপুল সংখ্যক পুলিশের একটি বহর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে আসে। এই খবর জেনে বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিতে শুরু করে এলাকাবাসী। এসময় আশপাশের মসজিদগুলোয় পুলিশ আসার খবর প্রচার করা হয়। কয়েক শ মানুষ কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে।

‎পরে অতিরিক্ত পুলিশ এলেও এলাকাবাসীর বাধার মুখে তারা পিছু হটেন৷ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাড়ির ভেতরে সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে কথাও বলেন৷ তবে তিনি ‘রাতে কোথাও যাবেন না’ বলে জানান৷ পুলিশ দলটি তখন তার বাড়ির ভেতরেই অবস্থান নেয়৷ ৬ ঘণ্টা পর স্বেচ্ছায় পুলিশের গাড়িতে ওঠেন তিনি৷

‎এলাকাবাসী জানায়, সাবেক মেয়র আইভী স্থানীয়দের কাছে দলমত নির্বিশেষে নারায়ণগঞ্জ নগরীর নানা উন্নয়ন করেছে। তাই স্থানীয়রা এই পুলিশি অভিযান প্রতিহত করতে সড়কে নেমেছেন।

‎নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যার চেষ্টাসহ পাঁচটি মামলায় আসামি করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। এসব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

‎আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ বিলুপ্ত করা হলে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন আইভী।

‎গাড়িবহরে হামলা:

‎আইভীকে নিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাব ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

‎প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে সেলিনা হায়াৎকে গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে র‌্যাব ও পুলিশের ১৫টি গাড়ি ডিবি কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। এ সময় ৩০-৪০ জনের একটি দল হামলা চালায়। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

‎সুত্র: সমকাল

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

আপডেট সময়ঃ ১০:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

‎অভিযান শুরু করার প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়নগঞ্জ পুলিশ। শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত সাবেক এই মেয়রের বাড়িতে পুলিশ অভিযান শুরু করে।

‎খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থা নেয় এলাকাবাসী। পরে সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে বাড়ির চারপাশে ঘিরে রাখে। অভিযান শুরুর সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সেখানে তাঁর বিপুলসংখ্যক সমর্থক অবস্থান করছিলেন। গাড়িবহর নিয়ে পুলিশও ছিল সতর্ক অবস্থানে।

‎স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর এই প্রথম বিপুল সংখ্যক পুলিশের একটি বহর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে আসে। এই খবর জেনে বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিতে শুরু করে এলাকাবাসী। এসময় আশপাশের মসজিদগুলোয় পুলিশ আসার খবর প্রচার করা হয়। কয়েক শ মানুষ কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে।

‎পরে অতিরিক্ত পুলিশ এলেও এলাকাবাসীর বাধার মুখে তারা পিছু হটেন৷ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাড়ির ভেতরে সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে কথাও বলেন৷ তবে তিনি ‘রাতে কোথাও যাবেন না’ বলে জানান৷ পুলিশ দলটি তখন তার বাড়ির ভেতরেই অবস্থান নেয়৷ ৬ ঘণ্টা পর স্বেচ্ছায় পুলিশের গাড়িতে ওঠেন তিনি৷

‎এলাকাবাসী জানায়, সাবেক মেয়র আইভী স্থানীয়দের কাছে দলমত নির্বিশেষে নারায়ণগঞ্জ নগরীর নানা উন্নয়ন করেছে। তাই স্থানীয়রা এই পুলিশি অভিযান প্রতিহত করতে সড়কে নেমেছেন।

‎নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যার চেষ্টাসহ পাঁচটি মামলায় আসামি করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। এসব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

‎আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ বিলুপ্ত করা হলে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন আইভী।

‎গাড়িবহরে হামলা:

‎আইভীকে নিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাব ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

‎প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে সেলিনা হায়াৎকে গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে র‌্যাব ও পুলিশের ১৫টি গাড়ি ডিবি কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। এ সময় ৩০-৪০ জনের একটি দল হামলা চালায়। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

‎সুত্র: সমকাল