০৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

তাহিরপুরে ডাকাতির ২০ গরু উদ্ধার

হক বার্তা ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০১:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পল্লী চিকিৎসক শামসুদ্দিনের ভাই-ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে ডাকাতি করা ২০টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও গরুগুলো উদ্ধার হলেও তা জানেন না থানার ওসি, পুলিশের ক্যাম্প ইনচার্জ।

তাহিরপুর-মধ্যনগর উপজেলার সীমান্ত হাওড় জনপদের বাসিন্দারা জানায়, মধ্যনগরের মহিষখলা বাজার থেকে মঙ্গলবার ২০টি গরু কেনেন একই উপজেলার কলতাপাড়ার গবাদিপশু (গরু-মহিষ) কারবারি বাহার উদ্দিন ও প্রতিবেশী দাতিয়াপাড়া গ্রামের জিল্লু মিয়া। ওই রাতে নৌপথে ট্রলারযোগে গরুর চালান নিয়ে যাওয়ার পথে ২৫ থেকে ৩০ জন মুখোশধারী ডাকাত অস্ত্রের মুখে ২০ গরু নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মধ্যনগরের বাঙ্গালভিটা গ্রামের বাসিন্দা গরু কারবারির স্বজনরা হাওড়ে একাধিক ট্রলার নিয়ে সন্ধান শুরু করে। পরে জানা যায়, কলাগাঁও সংসার পাড়ের আলাল, আইন উদ্দিন ও কসাই সাইকুলের বাড়িতে গরু তোলা হয়েছে। এরপর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আলালের বাড়ি থেকে ১০টি, আইন উদ্দিনের বাড়ি থেকে ছয়টি, কসাই সাইকুলের বাড়ি থেকে চারটি গরু উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, শামসুদ্দিনের আপন ছোটভাই আইন উদ্দিন ও ভগ্নিপতি আলাল। কসাই সাইকুল তার ব্যক্তিগত লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য ও অনুসারী। মধ্যনগর উপজেলার কলতাপাড়ার গবাদিপশু কারবারি বাহার উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতা শামসুদ্দিন ভালো করেই জানেন ডাকাতি করা হয়েছিল। শামসুদ্দিন মুচলেখা রেখেছেন, যাতে আইনি ব্যবস্থা নিতে না পারি।

উপজেলা বিএনপির সদ্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পল্লী চিকিৎসক শামুসদ্দিন বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। এ নিয়ে আর পত্রিকায় লেখালেখি করবেন না। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী, এতে আমার ইমেজ নষ্ট হবে। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমার ভাই আইন উদ্দিন বাড়ি থেকে ডাকাতির গরু উদ্ধার হয়নি, আলালসহ অন্যদের বাড়ি থেকে ডাকাতির গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

 

সুত্র:যুগান্তর

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

তাহিরপুরে ডাকাতির ২০ গরু উদ্ধার

আপডেট সময়ঃ ০১:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পল্লী চিকিৎসক শামসুদ্দিনের ভাই-ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে ডাকাতি করা ২০টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও গরুগুলো উদ্ধার হলেও তা জানেন না থানার ওসি, পুলিশের ক্যাম্প ইনচার্জ।

তাহিরপুর-মধ্যনগর উপজেলার সীমান্ত হাওড় জনপদের বাসিন্দারা জানায়, মধ্যনগরের মহিষখলা বাজার থেকে মঙ্গলবার ২০টি গরু কেনেন একই উপজেলার কলতাপাড়ার গবাদিপশু (গরু-মহিষ) কারবারি বাহার উদ্দিন ও প্রতিবেশী দাতিয়াপাড়া গ্রামের জিল্লু মিয়া। ওই রাতে নৌপথে ট্রলারযোগে গরুর চালান নিয়ে যাওয়ার পথে ২৫ থেকে ৩০ জন মুখোশধারী ডাকাত অস্ত্রের মুখে ২০ গরু নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মধ্যনগরের বাঙ্গালভিটা গ্রামের বাসিন্দা গরু কারবারির স্বজনরা হাওড়ে একাধিক ট্রলার নিয়ে সন্ধান শুরু করে। পরে জানা যায়, কলাগাঁও সংসার পাড়ের আলাল, আইন উদ্দিন ও কসাই সাইকুলের বাড়িতে গরু তোলা হয়েছে। এরপর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আলালের বাড়ি থেকে ১০টি, আইন উদ্দিনের বাড়ি থেকে ছয়টি, কসাই সাইকুলের বাড়ি থেকে চারটি গরু উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, শামসুদ্দিনের আপন ছোটভাই আইন উদ্দিন ও ভগ্নিপতি আলাল। কসাই সাইকুল তার ব্যক্তিগত লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য ও অনুসারী। মধ্যনগর উপজেলার কলতাপাড়ার গবাদিপশু কারবারি বাহার উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতা শামসুদ্দিন ভালো করেই জানেন ডাকাতি করা হয়েছিল। শামসুদ্দিন মুচলেখা রেখেছেন, যাতে আইনি ব্যবস্থা নিতে না পারি।

উপজেলা বিএনপির সদ্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পল্লী চিকিৎসক শামুসদ্দিন বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। এ নিয়ে আর পত্রিকায় লেখালেখি করবেন না। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী, এতে আমার ইমেজ নষ্ট হবে। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমার ভাই আইন উদ্দিন বাড়ি থেকে ডাকাতির গরু উদ্ধার হয়নি, আলালসহ অন্যদের বাড়ি থেকে ডাকাতির গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

 

সুত্র:যুগান্তর