ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে নারীকে লাথির ঘটনায় পুলিশ বলল গ্রেপ্তার, সেই আকাশ চৌধুরীর ফেসবুকে পোস্ট ‘আত্মসমর্পণ’

- আপডেট সময়ঃ ০৯:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / ৭ বার পড়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মেরে বহিষ্কৃত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আকাশ চৌধুরী দাবি করেছেন, তিনি ‘আত্মসমর্পণ’ করেছেন।
পুলিশের তথ্যমতে, আজ রোববার বিকেলে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনুমানিক বেলা পৌনে তিনটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেসবুকে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে দেওয়া পোস্টের একাংশে আকাশ চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমি আমার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনদের সিদ্ধান্তক্রমে আজকেই চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
এদিকে এ স্ট্যাটাসের পর প্রশ্ন উঠেছে, গ্রেপ্তারের পর কীভাবে ওই ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া হলো। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেলা পৌনে তিনটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর আইডি থেকে হয়তো কেউ পোস্ট করেছেন। গ্রেপ্তারের পর এ ধরনের সুযোগ নেই।’
ফেসবুকে আকাশ চৌধুরীর নামে থাকা ফেসবুক আইডিতে ঢুকে দেখা যায়, আইডিটি থেকে প্রথম পোস্ট করা হয় গত ১৯ মে। নিজের একটি ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, আগের আইডি ডিজেবল, এটা আমার একমাত্র আইডি। এরপর সেখানে নিজের ছবি ও বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি দেন তিনি। গত বুধবার বিকেলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’–এর কর্মসূচির পোস্ট করেছেন তিনি। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মারার ভিডিও ভাইরাল হয়।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়ার প্রতিবাদে গত বুধবার বিকেলে কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। কর্মসূচি শুরুর পরপর সেখানে মিছিল নিয়ে আসে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’। পরে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’–এর লোকজন ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে ১২ জন আহত হন। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে এক নারীসহ দুজনকে পেছন থেকে লাথি মারতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। যে ব্যক্তিকে লাথি মারতে দেখা গেছে, তাঁর নাম আকাশ চৌধুরী। ১৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর প্রেসক্লাবের পাশে একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা। ওই ব্যক্তি পুলিশের চোখ এড়িয়ে নেতা-কর্মীদের পেছনে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ একজনকে লাথি মারেন তিনি। এরপর ঘুরে আবার আরেক নারীকে লাথি মারেন।
এ ঘটনায় আকাশ চৌধুরীকে বহিষ্কার করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সুত্র:প্রথমআলো