০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

বিগত ৮ বছরেও শেষ হয়নি তাহিরপুরের শাহ্ আরেফিন ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর কাজ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৬২ বার পড়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তের বাদাঘাট ইউনিয়নে শাহ্ আরেফিন ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর কাজ চলছে শম্বুকগতিতে।  চার দফায় কাজের সময় বাড়িয়েও এই সেতুর কাজ কার্যাদেশপ্রাপ্ত  ঠিকাদারকে দিয়ে করাতে পারছে না স্থানীয় এলজিইডি। এ কারণে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দাসহ সবাই। সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্রসমূহ ও জনপ্রিয় পর্যটন স্পটের জন্য বিশাল সহায়ক হবে। যাতায়াতের দুর্ভোগ যেন শেষ হচ্ছে না সীমান্তবর্তী বাসিন্দা লক্ষাধিক মানুষ ও অগুনিত পর্যটকের।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাজধানী ঢাকার তমা কন্সট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেওয়া হয় শাহ আরেফিন ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজের। ৩০ মাসে এই কাজ শেষ করার নির্দেশনা ছিল কার্যাদেশে। কিন্তু ছয় বছরেও কাজটি শেষ করতে পারে নি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মেয়াদ শেষ হবার পর প্রথম দফায় নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট আবেদন করে সময় বাড়ায় ১৮২ দিন। দ্বিতীয় দফায় সেতুর প্রকল্প পরিচালক (পিডি)-র নিকট আবেদন করে সময় বাড়ানো হয় বিগত ২০২২ সালের ৩১ মে পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় একইভাবে বাড়ানো হয় ১০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় আগামী জুন ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ালেও কাজ ওই সময়েও শেষ হবার কোন লক্ষণ নেই।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ধীরগতি। সেতুটির ২০ টি গার্ডার ও তিনটি স্পেন নির্মাণের কাজ এখনো বাকী আছে।
যাদুকাটা নদী সীমান্তের বিশাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমিকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সেতু নির্মিত হলে মেঘালয় পাহাড় ও বারেক টিলার অপরূপ সৌন্দর্য্য ছাড়াও সীমান্ত এলাকার শাহ্ আরেফিন (রহ.) আস্তানা, জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান, ঐতিহাসিক লাউড় রাজ্যের রাজধানী হলহলিয়ার ধ্বংসাবশেষ, শহিদ সিরাজ লেক ছাড়াও সীমান্তের তিন শুল্কবন্দর বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলীকে সড়কপথে যুক্ত করবে। সড়কপথে টাঙ্গুয়ার হাওরের কাছাকাছিও পৌঁছা যাবে। পর্যটকদের সড়ক ভোগান্তি দূর হবে। ৮৫ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৮ টাকা ব্যয়ে এই সেতুর নির্মাণ চুক্তি হয় রাজধানী ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশনের সঙ্গে। সেতুটির ধৈর্ঘ্য ৭৩৫ মিটার। সেতুটির কাজ ধীরগতিতে চলার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বিগত ৮ বছরেও শেষ হয়নি তাহিরপুরের শাহ্ আরেফিন ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর কাজ

আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তের বাদাঘাট ইউনিয়নে শাহ্ আরেফিন ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর কাজ চলছে শম্বুকগতিতে।  চার দফায় কাজের সময় বাড়িয়েও এই সেতুর কাজ কার্যাদেশপ্রাপ্ত  ঠিকাদারকে দিয়ে করাতে পারছে না স্থানীয় এলজিইডি। এ কারণে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দাসহ সবাই। সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্রসমূহ ও জনপ্রিয় পর্যটন স্পটের জন্য বিশাল সহায়ক হবে। যাতায়াতের দুর্ভোগ যেন শেষ হচ্ছে না সীমান্তবর্তী বাসিন্দা লক্ষাধিক মানুষ ও অগুনিত পর্যটকের।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাজধানী ঢাকার তমা কন্সট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেওয়া হয় শাহ আরেফিন ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজের। ৩০ মাসে এই কাজ শেষ করার নির্দেশনা ছিল কার্যাদেশে। কিন্তু ছয় বছরেও কাজটি শেষ করতে পারে নি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মেয়াদ শেষ হবার পর প্রথম দফায় নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট আবেদন করে সময় বাড়ায় ১৮২ দিন। দ্বিতীয় দফায় সেতুর প্রকল্প পরিচালক (পিডি)-র নিকট আবেদন করে সময় বাড়ানো হয় বিগত ২০২২ সালের ৩১ মে পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় একইভাবে বাড়ানো হয় ১০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় আগামী জুন ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ালেও কাজ ওই সময়েও শেষ হবার কোন লক্ষণ নেই।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ধীরগতি। সেতুটির ২০ টি গার্ডার ও তিনটি স্পেন নির্মাণের কাজ এখনো বাকী আছে।
যাদুকাটা নদী সীমান্তের বিশাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমিকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সেতু নির্মিত হলে মেঘালয় পাহাড় ও বারেক টিলার অপরূপ সৌন্দর্য্য ছাড়াও সীমান্ত এলাকার শাহ্ আরেফিন (রহ.) আস্তানা, জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান, ঐতিহাসিক লাউড় রাজ্যের রাজধানী হলহলিয়ার ধ্বংসাবশেষ, শহিদ সিরাজ লেক ছাড়াও সীমান্তের তিন শুল্কবন্দর বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলীকে সড়কপথে যুক্ত করবে। সড়কপথে টাঙ্গুয়ার হাওরের কাছাকাছিও পৌঁছা যাবে। পর্যটকদের সড়ক ভোগান্তি দূর হবে। ৮৫ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৮ টাকা ব্যয়ে এই সেতুর নির্মাণ চুক্তি হয় রাজধানী ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশনের সঙ্গে। সেতুটির ধৈর্ঘ্য ৭৩৫ মিটার। সেতুটির কাজ ধীরগতিতে চলার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।