১১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

‎সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে কিশোরী শিক্ষার্থী নিখোজের ৪ ঘন্টার মধ্যে বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার, আতঙ্কিত গ্রামবাসী

স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট সময়ঃ ১০:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার রামনগরে নিখোঁজের ৪ ঘন্টার মধ্যে ডোবা থেকে ফারিহা আক্তার নামের কিশোরী শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়ার। 

‎ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, মৃত্যূর ঘটনাটি প্রাথমিক ভাবে রহস্যজনক মনে করছে পুলিশ গভীর তদন্ত চলমান আছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যূর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

‎৯ জুন সোমবার পরিবারের সাথে রাতের খাবার খেয়ে দাদির সাথে বসত ঘরের মেজেতে প্লাস্টিকের মাদুরে ঘুমিয়ে ছিলো শিশুটি। তখন রাত তিনটা বাজে, দাদি ফাতেমা বেগম প্রকৃতির ডাকে ঘুম ওঠে দেখেন,ঘরের একমাত্র লাইট নিভানো ও দরজা খোলা, বিছানায় ফারিহা নেই । তিনি ফারিহার বাবা মাকে নিখোঁজের বিষয় জানালে ফারিয়াকে খোঁজতে নামেন প্রতিবেশী সহ গ্রামবাসী সবাই।

‎ পরে ১০ জুন মঙ্গলবার ভোরে রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় থেকে বিবস্ত্র, অর্ধ-নিমজ্জিত দেহ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

‎জামালগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

‎মোছাম্মৎ সাহান আরা মুজিবুর রহমান দম্পতির ২ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে ফারিহা আক্তার দ্বিতীয়। তিন সন্তান ও শাশুড়ি, জা সহ ৭ সদস্য নিয়ে ৮ হাত প্রস্ত ও ১২ হাত লম্বা টিনশেডের বসতঘরে সুখেই দিন কাটছিলো তাদের কিন্তু সুখ কপালে সইলনা।

‎০৯ জুন সোমবার রাতে যে জায়গায় বসে খাবার খেয়ে মাদুরে ঘুমিয়ে ছিলো ফারিহা।

‎আজ সেখানে মেয়ের প্রাণহীন দেহ সেখানে পড়ে আছে। দলেদলে লোকজন ও স্বজনরা বাড়িতে আসছেন শেষ বারের মতো ফারিহাকে দেখতে। সবার মুখে বিষাদের কালো ছায়া বিরাজ করছে।

‎ফারিহার মা বাবা ও স্বজনের কান্নার আহাজারিতে ভারী হয়ে পড়েছে সুরমা নদী ও জোয়ালভাঙ্গা হাওর বেস্টিত রামনগর গ্রামে।

‎ফরিহার মা,বাবা, স্বজন ও এলাকাবাসীর মনে ঘটনা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন স্বজন ও এলাকাবাসী

‎সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, প্রত্যেকটি মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ থাকে, এখানেও ব্যতিক্রম নয়। পুলিশ গভীর ভাবে ঘটনা তদন্ত করছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “‎সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে কিশোরী শিক্ষার্থী নিখোজের ৪ ঘন্টার মধ্যে বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার, আতঙ্কিত গ্রামবাসী

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

‎সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে কিশোরী শিক্ষার্থী নিখোজের ৪ ঘন্টার মধ্যে বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার, আতঙ্কিত গ্রামবাসী

আপডেট সময়ঃ ১০:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার রামনগরে নিখোঁজের ৪ ঘন্টার মধ্যে ডোবা থেকে ফারিহা আক্তার নামের কিশোরী শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়ার। 

‎ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, মৃত্যূর ঘটনাটি প্রাথমিক ভাবে রহস্যজনক মনে করছে পুলিশ গভীর তদন্ত চলমান আছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যূর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

‎৯ জুন সোমবার পরিবারের সাথে রাতের খাবার খেয়ে দাদির সাথে বসত ঘরের মেজেতে প্লাস্টিকের মাদুরে ঘুমিয়ে ছিলো শিশুটি। তখন রাত তিনটা বাজে, দাদি ফাতেমা বেগম প্রকৃতির ডাকে ঘুম ওঠে দেখেন,ঘরের একমাত্র লাইট নিভানো ও দরজা খোলা, বিছানায় ফারিহা নেই । তিনি ফারিহার বাবা মাকে নিখোঁজের বিষয় জানালে ফারিয়াকে খোঁজতে নামেন প্রতিবেশী সহ গ্রামবাসী সবাই।

‎ পরে ১০ জুন মঙ্গলবার ভোরে রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় থেকে বিবস্ত্র, অর্ধ-নিমজ্জিত দেহ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

‎জামালগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

‎মোছাম্মৎ সাহান আরা মুজিবুর রহমান দম্পতির ২ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে ফারিহা আক্তার দ্বিতীয়। তিন সন্তান ও শাশুড়ি, জা সহ ৭ সদস্য নিয়ে ৮ হাত প্রস্ত ও ১২ হাত লম্বা টিনশেডের বসতঘরে সুখেই দিন কাটছিলো তাদের কিন্তু সুখ কপালে সইলনা।

‎০৯ জুন সোমবার রাতে যে জায়গায় বসে খাবার খেয়ে মাদুরে ঘুমিয়ে ছিলো ফারিহা।

‎আজ সেখানে মেয়ের প্রাণহীন দেহ সেখানে পড়ে আছে। দলেদলে লোকজন ও স্বজনরা বাড়িতে আসছেন শেষ বারের মতো ফারিহাকে দেখতে। সবার মুখে বিষাদের কালো ছায়া বিরাজ করছে।

‎ফারিহার মা বাবা ও স্বজনের কান্নার আহাজারিতে ভারী হয়ে পড়েছে সুরমা নদী ও জোয়ালভাঙ্গা হাওর বেস্টিত রামনগর গ্রামে।

‎ফরিহার মা,বাবা, স্বজন ও এলাকাবাসীর মনে ঘটনা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন স্বজন ও এলাকাবাসী

‎সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, প্রত্যেকটি মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ থাকে, এখানেও ব্যতিক্রম নয়। পুলিশ গভীর ভাবে ঘটনা তদন্ত করছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।